গোটা রাজ্যে সদ্যই ব্রিক ফিল্ড ওনার ম্যানুফাকচার্স ফেডারেশনের সংগঠকরা জেলার প্রতিটি জেলাশাসকের কাছে দাবি স্মারক জমা দিয়েছে।গোটা রাজ্যে ২ লক্ষ ইটভাটা রয়েছে।যেসব ইটভাটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন প্রায় দেড় কোটি শ্রমিক।এ রাজ্যে ৭০০০ ইটভাটায় কাজ করছেন কুড়ি লক্ষ শ্রমিক,দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই সংখ্যাটা ৩৫০ টি ইটভাটা যেখানে কাজ করছেন সাড়ে ৪ হাজার শ্রমিক।তাদের মূল দাবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়লার দাম নিয়ন্ত্রণ করা, জিএসটি আগের মত হারে ফিরিয়ে আনা।পাশাপাশি ফ্লাই অ্যাশ ইটের ক্ষেত্রে সরকার যে অনুদান দিচ্ছে তা এই ব্রিক ফিল্ডে দেয়ারও তারা অনুরোধ করেছেন ।আগামী দিনে কেন্দ্রীয় সরকার এই ইটভাটার মালিকদের নিয়ে সমস্যার সমাধানে না এগিয়ে এলে, আগামী অর্থ বছরে সারা দেশব্যাপী ইটভাটা বন্ধ রাখার সঙ্গে সঙ্গে ইট বিক্রিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইটভাটা সংগঠনের মালিকরা । ইতিমধ্যে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর মধ্যে পাঁচ দিন সারা ভারতবর্ষে কোন ইট বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই সংগঠন।রাজ্যের এই ইট ভাটা সংগঠনের বেঙ্গল ব্রিক ফিল্ড অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি যোগেশ আগারওয়াল জানিয়েছেন বর্তমানে জিএসটি বেড়েছে ২৪০ শতাংশ থেকে ৬০০ শতাংশ। কয়লার দাম বেড়েছে ৩৫০ শতাংশের উপর।তিনি জানান,শ্রমিক চুক্তির উপর অতিরিক্ত ১২ শতাংশ জিএসটি বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের নামে শুধু ইট শিল্পের উপর আইনের জুলুম তীব্র হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রী আগরওয়াল । তিনি আরো জানান দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রায় ৩৬০ টি ইটভাটায় সাড়ে চার হাজার কর্মী নিযুক্ত রয়েছেন।রাজ্যে এই শ্রমিক সংখ্যা প্রায় কুড়ি লক্ষ।দেশের ২ লক্ষ ইটভাটায় প্রায় দু' কোটি শ্রমিক কাজ করেন। আগামী দিনে এই ইটভাটা গুলি বন্ধ রাখা হলে এই শ্রমিকরা কর্মসংস্থান হারাবে । পাশাপাশি এই ইট নিয়ে যেসব ইমারত তৈরি হয় তার সঙ্গে যুক্ত রাজমিস্ত্রি ও তার সহযোগীরাও কর্মসংস্থান হারাবে।কেন্দ্রীয় সরকার না এগিয়ে এলে আগামী দিনে ইটভাটার মালিকদের ইটভাটা গুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি জানান বর্তমানে ইটভাটার মালিকদের লোকসানে ইটভাটা চালাতে হচ্ছে।ইটভাটার জন্য কয়লার দাম নিয়ে কেন্দ্রীয় কোন নীতি না থাকায় এক শ্রেণীর দালাল চক্র গড়ে ওঠেছে।তারাই এই দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। যেখানে পাঁচ হাজার টাকা এক টনের কয়লার দাম সেখানে ইটভাটার মালিকদের ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় ঐ দালাল চক্রের কাছ থেকে কয়লা কিনতে হচ্ছে।ফলে অনেক লোকশান হচ্ছে এই শিল্পে।বাড়ছে ইটের দাম।এটা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকলে ইটভাটা গুলি বন্ধ করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।ইটভাটায় যারা কাজ করে তাদের প্রতিদিনের রোজ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। যারা ভালো কাজ করেন তাদের মজুরি এক হাজার টাকা।কৃষি কাজের পরে অবসর সময় ইটভাটা বেশি শ্রমিক নিযুক্ত হয়।একটা সময় বাংলার ৮০ শতাংশ মানুষ ইটভাটায় কাজ করতেন । বর্তমানে আশি শতাংশ মানুষ বাইরে থেকে আসছেন । বর্তমানে সংখ্যাটা বিপরীত । বাংলার মানুষ ২০ শতাংশ মাত্র । বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে ৮০%র বেশিরভাগ শ্রমিক। বাংলা শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে ইটভাটায় কাজ করার জন্য চলে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন যোগেশ আগারওয়াল । বুধবার আলিপুরে বেঙ্গল ব্রিকফিল্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি যোগেশ আগারওয়াল ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি সুদেশ ভাবনানী, সহকারী সম্পাদক মনোজ খাতনানি, রাজ কিশোর সিং, হেমন্ত ছাবরিয়া, উমেশ রায় প্রমুখ।
Post Top Ad
Responsive Ads Here

ম্যানুফাকচার্স ফেডারেশনের সংগঠকদের দাবি
Share This
Tags
# kolkata
Share This

About Life of Calcutta
kolkata
Tags
kolkata
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post Top Ad
Responsive Ads Here
Life of Calcutta
1 of the Entertainment Website of the Calcutta
No comments:
Post a Comment