শ্রীমন্ত শঙ্করদেব কনসাসনেস সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে উদযাপিত হলো শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের তিরধান তিথি।শঙ্করদেব ১৪৪৯ সালের ৫ই আশ্বিন,শুক্লা দশমী তিথিতে অসমের বরদোয়ায় জমিদার ভূঁইয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি জমিদার পরিবারের সন্তান হলেও জমিদারের বিলাস বৈভব কখনই তাঁকে আকর্ষণ করতে পারেনি।তিনি সারাজীবন সাধারণ মানুষদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে তাঁদের আত্মিক চেতনার বিকাশের জন্য কাজ করে গেছেন।ভগবান যখন অবতার রূপে জন্মগ্রহণ করেন,তখন সে কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকেননা,গোটা বিশ্ব জুড়ে চলতে থাকে তাঁর অবাধ বিচরণ।তেমনই শঙ্করদেবের প্রভাব পড়েছে অসম,বাংলা সহ অন্যান্য জায়গায়। বাংলার মানুষরা শঙ্করদেবের আদর্শকে সংগঠনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেছেন।পরবর্তী সময়ে অসমের বন্ধুরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।শঙ্করদেব একদিকে যেমন ছিলেন সঙ্গীতকার,নূতন-নূতন শিল্প উদ্ভাবনকারী, ভারতপ্রেমিক ধর্ম প্রবর্তক,ধর্মসংস্কারক,সাহিত্যিক,নৃত্য-নাট্যকার,তেমনই খেলাধুলা,চিত্রকলা এবং সূচী শিল্পেও তিনি পারদর্শী ছিলেন।
পুরাণ, ভাগবত, রামায়ণ প্রভৃতি সংস্কৃত গ্রন্থর কাহিনীগুলি তিনি অসমীয়া চলিত সহজ-সরল ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন,যাতে সাধারণ অসমিয়ারা সহজে ওই ধর্মগ্রন্থের কাহিনী,ধর্মকথা বুঝতে পারেন।শঙ্করদেবের মতে,এক কন্যা দশ পুত্রের সমান,এক বৃক্ষ শত পুত্রের সমান।তিনি সব সময় চেষ্টা করতেন কিভাবে দেশের সংস্কৃতির সর্বস্তরে প্রচার করা সম্ভব।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সভাপতি হেমেন ভট্টাচার্য,গৌহাটি থেকে আশা সদস্য সজলবরণ দাস,এসএল ক্লাবের সেক্রেটারি পরিমল চন্দ্র দাস,সংগঠনের উপদেষ্টা সুভাষ ভট্টাচার্য,বিদ্যুৎ পল গগৈ সহ অন্যান্যরা।সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি সুজিত চক্রবর্তী।সুজিত বাবুর জানান,শঙ্করদেবের আদর্শ গোটা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।এদিনের অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো অনামিকা সরকারের পাঁচালী পাঠ।প্রসঙ্গত,মহাপ্রভুর জন্মের ৩৬ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শঙ্করদেব।কিন্তু মহাপ্রভুর তিরোধানের অনেক পরে ২৯ আগস্ট ১১৯ বছর বয়সে বাংলার কুচবিহারের মধুপুর সত্রে শঙ্করদেবের তিরোধান ঘটেছে।
No comments:
Post a Comment