বিগত দুই শতক ধরে চলা এই মেলাটি মহামারীর পর দ্বিতীয়বার অফলাইনে আয়োজিত হচ্ছে। এটি এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে শিক্ষার্থী তাদের বাবা-মা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য এক জায়গায় নিয়ে আসে। এখানে যেমন রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং,মেডিকেল হোটেল ম্যানেজমেন্ট তেমনি রয়েছে হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট,আইটিআই, ফার্মাসিটিক্যাল সাইন্স,আর্কিটেকচার এর মতন বিভাগের বিভিন্ন কলেজ ও ইউনিভার্সিটি।তার সাথে রয়েছে বহু ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সংস্থা ও।সব মিলিয়ে প্রায় আড়াইশো বেশি প্রতিষ্ঠান সেখানে উপস্থিত রয়েছে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার জন্য।
ফিরহাদ হাকিম বলেন,রাজ্যে বর্তমানে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে।বেসরকারি বহু সংস্থা এখানে শিক্ষার নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। পড়াশোনার কাঠামো/চরিত্র দিন প্রতিদিন বদলে যাচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার দিকে ঝোঁক বাড়ছে ছাত্র-ছাত্রীদের।সাধারণ স্কুলে যারা পড়ে তাদের জন্য কাউন্সেলিংয়ের খুব দরকার।একটি বড় কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা করা উচিত।প্যারামেডিকেল নার্সিং এর মতন শিক্ষাগুলি চাহিদা দিন প্রতিদিন বাড়ছে।পশ্চিমবঙ্গের সুযোগ বাড়ছে কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গ কে হেয় করার চেষ্টা চলছে। আগামী এমন দিন আসবে অন্য রাজ্যে তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর কাজের সুযোগ থাকবে।সরাসরি নাম না করে বামফ্রন্ট এর দিকে আঙ্গুল তুলে তিনি বলেন আইটিকে আটকানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এখানে বহু আইটি সেক্টর তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জন্য স্বর্ণযুগ আসছে।মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, সমাজ, লেখাপড়ায় সব জায়গায় পরিবর্তন হচ্ছে।এটাই সত্য।প্রতিনিয়ত বহু ছেলেমেয়ে তৈরি হচ্ছে কিন্তু সঠিক ভাবে গাইডেন্স নেই।এই ধরনের শিক্ষামূলক মেলা খুব উপকার করছে।বর্তমানে কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজন।বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যেমনভাবে ক্যাম্পাসিং হচ্ছে তেমনভাবে যারা উচ্চশিক্ষার দিকে যাচ্ছেন তাদেরকে সেল্ফ এমপ্লয়মেন্টের জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।আগে ছাত্রছাত্রীরা পড়ার জন্য বাইরে যেতেন কিন্তু বর্তমানে বাইরে থেকে বহু ছাত্র-ছাত্রী কলকাতায় পড়তে আসছে।
সুরঞ্জন দাস এর কথায় ঐতিহ্যকে ভুললে চলবেনা।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যেন মানুষের কাজে লাগে তা দেখতে হবে।মহামারী পরিস্থিতির পর ছাত্রছাত্রীরা একের পর এক সাফল্য পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বহু ইউনিভার্সিটি কলেজ আজ বিশ্বের দরবারে এগিয়ে রয়েছে।এডুকেশন ইন্টারফেস ২০২২ এ উদ্বোধনের প্রথম দিনই ছাত্র-ছাত্রী এবং তার বাবা-মার উৎসাহ ছিল চরমে।বহু ছাত্র-ছাত্রী নিজেদের পরবর্তী পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির স্টলে দেখা করছেন এবং সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করছেন।
No comments:
Post a Comment